অনেক গাড়িতেই cup-holder থাকে। কিন্তু তার একটা মাত্র ব্যাসরেখা (diameter) থাকে। অনেক দেশেই মাটির ভাঁড় (রসালো মিষ্টির ভাঁড়, ঝোল-সহ তরকারির ভাঁড়) খুব ব্যবহার করা হয়। এই মাটির ভাঁড় হাতে নিয়ে হাঁটা বিশেষ মুশকিল নয়। কিন্তু গাড়িতে তা নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট মুশকিল, সেই ভাঁড় বেঁকে গিয়ে রস/ ঝোল না ফেলে। তাই গাড়িতে, এবং bicycle, scooter ও motorcycle-এও একটা ব্যাসরেখা বদলানো যায় এমন একটা cup-holder এবং তার নীচে উচ্চতা বদলানো যায় এমন একটা ওজন ধরে রাখার, পাত্র-র তলাটা ট্যাঁক দেওয়ার, জিনিষ থাকলে, এই সমস্যার একটা মোটামুটি সমাধান করা যায়।
Sunday, 30 June 2013
Friday, 14 June 2013
ইণ্ডিয়ান ওশান
দিল্লির ইণ্ডিয়ান ওশান গানের দল আপাতত দলভঙ্গ হয়েছে। ওরা প্রথমে
শুরু হয়েছিল স্রেফ অসীম চক্রবর্ত্তী-র তবলা ও সুস্মিত সেন-এর গীটার নিয়ে।
ওদের প্রথম অনুষ্ঠানই ছিল একটি কলেজে। তারপর থেকে প্রায় ২৫ বছর ধরে ওরা
প্রধানত ভারতের কলেজেই বাজিয়ে গেছে। তারপর ওদের মধ্যে আসে রাহুল রাম (যে
সব চেয়ে বেশী দল-এর মুখ হিসেবে পরিচিত) ও অমিত কিলাম। ২০০৯ সালে অসীম
চক্রবর্ত্তীর মৃত্যুর পর, দলটার এক অপরিহার্য আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়। এবং
এখন সুস্মিত সেন চলে যাওয়ার পর দলটা যেরকম গত ২৫ বছর ধরে মানুষেরা চিনত
সেরকম আর নেই। ফলে, বলা যেতে পারে দলটা আপাতত একধরনের শেষ।
পুনশ্চ: সুস্মিত সেন ২০১৪-তে একটা বই লিখেছিল যে সে দলটা কেন ছেড়েছিল। বইটা হয়তো একটু এক-তরফা। জনপ্রিয়তা ও একাগ্রতা মেলানো কঠিন। কিন্তু এমন হয়তো নয় যে একটা ঠিক ও অন্যটা ভুল। ২০০৪-এর পর ২০১৫-তে আমি ইণ্ডিয়ান ওশান-কে সরাসরি আরেকবার অনুষ্ঠান করতে দেখলাম। দেখতে ও শুনতে খুবই ভালো লাগলো। জনপ্রিয়তা, গানে আনন্দলাভ করা -- এই বিষয়গুলোয় কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। হয়তো জনপ্রিয়তার খাতিরে কথা-সমেত গান বেশি, কিন্তু এখনো জনপ্রিয় আর এখনও শুনে ও দেখে আনন্দলাভ করি।
পুনশ্চ: সুস্মিত সেন ২০১৪-তে একটা বই লিখেছিল যে সে দলটা কেন ছেড়েছিল। বইটা হয়তো একটু এক-তরফা। জনপ্রিয়তা ও একাগ্রতা মেলানো কঠিন। কিন্তু এমন হয়তো নয় যে একটা ঠিক ও অন্যটা ভুল। ২০০৪-এর পর ২০১৫-তে আমি ইণ্ডিয়ান ওশান-কে সরাসরি আরেকবার অনুষ্ঠান করতে দেখলাম। দেখতে ও শুনতে খুবই ভালো লাগলো। জনপ্রিয়তা, গানে আনন্দলাভ করা -- এই বিষয়গুলোয় কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। হয়তো জনপ্রিয়তার খাতিরে কথা-সমেত গান বেশি, কিন্তু এখনো জনপ্রিয় আর এখনও শুনে ও দেখে আনন্দলাভ করি।
Sunday, 9 June 2013
পি.জি. য়ুড্হাউস ও টেনিদা
পি.জি. য়ুড্হাউস-এর গল্প ২০১৩ সালে সব চেয়ে জনপ্রিয় ভারতীয়দের মধ্যে (এবং হয়তো রুশদের মধ্যে)। পি.জি. য়ুড্হাউস-এর গল্প খুব অল্প সংখ্যক ভারতীয়রাই পড়ে (বছরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার য়ুড্হাউস-এর বই বিক্রি করে পেঙ্গুইন প্রকাশনা), তবে ভারতেই, বিশ্বে য়ুড্হাউস-এর বইয়ের সবচেয়ে বেশি বিক্রির স্থান। এই প্রীতির কারণ ইংরেজ সংস্কৃতির প্রতি কোন বিশেষ আকর্ষণ নয়, বরং ইংরিজি ভাষার চমৎকার লেখার প্রতি টান। এর সমতুল্য বাংলা লেখা হিসেবে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর টেনিদা গল্প মনে আসে। দুজন লেখকের গল্পই বিপুল-অবসর-সময়-বাহক মানুষদের নিয়ে। এবং দুজনের লেখাই বিশেষ কোন সময়ে বাঁধা নয়। দুজনের লেখাতেই রাজনীতির প্রকাশ্য আলোচনা নেই। এবং দুজনের লেখাই অনেকে বারবার পড়ে কারণ প্রত্যেক বারই তা মজার লাগে। পি.জি. য়ুড্হাউস, আমার মতে, ইংরিজি ভাষার শ্রেষ্ঠ লেখকদের মধ্যে একজন। ভাষার অসাধারণ ব্যবহারের ফলেই এদের লেখা অনুবাদে পড়া বিশেষ আকর্ষণীয় শোনায় না, যারা এই ভাষা দুটোয়ে পড়তে পারে, তাদের কাছে। পি.জি. য়ুড্হাউস-এর কিছু লেখা এখানে পড়া যায়। ব্যক্তিগত ভাবে, আমার সবচেয়ে প্রিয় য়ুড্হাউস-এর বই মাঝে মাঝেই বদলাতে থাকে, তবে আপাতত তা হলো The Golf Omnibus।
Subscribe to:
Posts (Atom)